**নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী: অগ্নিযুগের এক মহানায়ক**
**ভূমিকা**
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে **নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু** এক অবিস্মরণীয় নাম। তাঁর দৃঢ় প্রতিজ্ঞা, দেশপ্রেম ও বিপ্লবী চেতনা আজও বাঙালির হৃদয়ে অমর। আজকের ব্লগে আমরা নেতাজির জীবন ও সংগ্রামের গল্প জানব।
**প্রারম্ভিক জীবন**
- **জন্ম**: ১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি, ওড়িশার **কটক** শহরে।
- **পিতামাতা**: জনকীনাথ বসু (প্রখ্যাত আইনজীবী) ও প্রভাবতী দেবী।
- **শিক্ষা**:
- কলকাতার **প্রেসিডেন্সি কলেজ** থেকে স্নাতক।
- ইংল্যান্ডের **কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়** থেকে ICS (ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস) পরীক্ষায় পাস করেন, কিন্তু চাকরি ছেড়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দেন।
**স্বাধীনতা আন্দোলনে ভূমিকা**
**১. কংগ্রেসের সঙ্গে যাত্রা**
- প্রথমে **মহাত্মা গান্ধী** ও **চিত্তরঞ্জন দাশ**-এর আদর্শে প্রভাবিত হন।
- **যুব নেতা** হিসেবে পরিচিতি পান, "**ফরওয়ার্ড ব্লক**" গঠন করেন (১৯৩৯)।
**২. আজাদ হিন্দ ফৌজ (INA)**
- **"তুমি আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাকে স্বাধীনতা দেব"** — এই slogan-এ উদ্বুদ্ধ করে জাপানের সহায়তায় **আজাদ হিন্দ ফৌজ** গঠন করেন (১৯৪৩)।
- **লাল কেল্লা বিচার**: INA-এর সৈন্যদের ব্রিটিশবিরোধী কার্যক্রমের জন্য বিচার করা হলে, দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়ায়।
**৩. বিদেশে কার্যক্রম**
- জার্মানি, জাপান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভারতীয় সৈন্যদের সংগঠিত করেন।
- **স্বাধীন ভারতের অস্থায়ী সরকার** গঠন করেন (১৯৪৩)।
**রহস্যমৃত্যু**
- ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট **তাইওয়ানে বিমান দুর্ঘটনা**তে মৃত্যু হয় বলে প্রচলিত আছে।
- তবে তাঁর মৃত্যু নিয়ে **ষড়যন্ত্র তত্ত্ব** আজও রহস্য ঘেরা (কেউ কেউ দাবি করেন তিনি **রাশিয়ায়** লুকিয়ে ছিলেন)।
**নেতাজির আদর্শ ও উত্তরাধিকার**
- **জাতীয়তাবাদ**: "**জয় হিন্দ**" slogan তাঁরই দেওয়া।
- **নারীশক্তি**: INA-তে **রানি ঝাঁসি রেজিমেন্ট** গঠন করে নারীদের যুদ্ধে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেন।
- **বাঙালির গর্ব**: তাঁর জন্মদিন **২৩ জানুয়ারি** "**পরাক্রম দিবস**" হিসেবে পালিত হয়।
**উপসংহার**
নেতাজি শুধু একজন নেতা নন—তিনি **আদর্শ, সাহস ও স্বাধীনচেতা ভাবনার প্রতীক**। তাঁর জীবনী আমাদের শেখায় **দেশপ্রেম, ত্যাগ ও অদম্য ইচ্ছাশক্তি**র মাহাত্ম্য।
> **"ভারত মাতার সন্তান হিসেবে আমার একটাই আকাঙ্ক্ষা—মুক্তি!"** — সুভাষচন্দ্র বসু
**এই ব্লগ শেয়ার করে নেতাজির আদর্শ ছড়িয়ে দিন!** 🇮🇳